• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

স্প্রিডবোট চালক থেকে অপরাধ জগতের সম্রাট চাঁদপুরের মমপট্টির সাদ্দাম

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বনে গেছেন চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার নিতাইগঞ্জ মমপট্টি এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাদ্দাম। স্প্রিডবোটের চালক থেকে এখন অপরাধ জগতের চোরাকারবারির মূল হোতা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর নাম ব্যবহার করে সে মেঘনা নদীতে মালবাহী ট্রলার ও জাহাজ থেকে চাঁদা উত্তোলন করেছে।

নৌ-বাহিনীর নাম ব্যবহার করে অপকর্মের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে বেশ কিছুদিন চাঁদপুর জেলা কারাগারে ছিলেন।জেল থেকে বেরিয়ে এসে  অপরাধ জগতে সাদ্দাম হোসেন ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেন।

২২ দিনের মা ইলিশের অভিযানে এই চিহ্নিত অপরাধজগতের হোতা সাদ্দাম হোসেন নিজে চারটি স্পিড বোর্ডের মালিক হয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মা ইলিশের চালান ঢাকায় পাচার করেন। এই ২২ দিনে সে কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এছাড়া চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের চরাঞ্চলে প্রায় শতাধিক জেলে নৌকা তার নিয়ন্ত্রণে থেকে নদীতে মা ইলিশ নিধন করেছে। সেখান থেকে প্রতিদিন পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এই স্প্রীডবোট ব্যবহার করে চাঁদপুর থেকে মাদকের বড় চালান শরীয়তপুর জেলা সহ অন্যান্য জেলায় পাচার করছে এমনটি অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটির অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ডাকাতিয়া নদীর পারে সরকারি জায়গা জবর দখল করে কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটির সরকারি জায়গায় নিজে এখন স্টিল বডি টলার নির্মাণের জন্য  ডকইয়ার্ড দিয়েছেন।

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অপরাধজগতের হোতা সাদ্দাম হোসেন মাত্র এক বছরেই কোটিপতি হয়েছেন। সাদ্দাম হোসেনের বাবা ইউসুফ খান ও চাচা আলি খান পুরানবাজারের চিহ্নিত ব্রেকার। সে প্রতিদিন রাতে চাচা আলী খানকে সাথে নিয়ে মেঘনা নদীতে চট্টগ্রাম থেকে আসা লাইটার জাহাজ থেকে চোরাই ভাবে বিভিন্ন মাল স্টিল বডি ট্রলারে উঠিয়ে শরীয়তপুর সহ অন্যান্য জেলায় পাচার করে।

সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে গভীর রাতে স্পিডবোট যোগে নদীতে বেশ কয়েকবার যাত্রীবাহী ট্রলার ও মালবাহী টলারে ডাকাতি করেছে। নৌ পুলিশের সাথে তার গভীর সখ্যতা থাকায় এ সকল অপকর্ম দিনের পর দিন মেঘনা নদীতে করে যাচ্ছে।

একজন স্প্রিড বোর্ড এর চালক হয়ে অবৈধ পথে কোটি টাকার মালিক হওয়ার ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।  এই চোরাকারবারির হোতা সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!