• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

চাঁদপুরে শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

স্টাফ রিপোর্টার॥

চাঁদপুর পৌর এলাকার রঘুনাথপুর হাজী করিম খান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহপাঠীদের সাথে কথা বলার কারণে শিক্ষক জীবন বাবুর পিটুনিতে গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী হালিমা সুলতানা হাশি। ঘটনাটি প্রশাসনকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেয়ার জোর চেষ্টা চালিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদসহ প্রধান শিক্ষক। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীতে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী হাশি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর তালকুদার বাড়ীর হাবিব তালুকদারের কন্যা। আহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ক্লাশ নিতে যান অভিযুক্ত শিক্ষক জীবন। ওই সময় হাশি তার অন্য সহপাঠীর সাথে কথা বলছিলেন। শিক্ষক ক্লাশে প্রবেশ করছেন হাশি তখন দেখেনি। কি কারণে কথা বলেছে এই অপরাধে তাকে বেত দিয়ে বেধরক মারা হয়। শিক্ষকের মারের কারণে ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে পড়ে হাশি। এমন অবস্থা দেখে বিষয়টি পুরো বিদ্যালয়ে জানাজানি হয়। পরে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় হাসি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাশির বাবা হাবিব তালুকদার বলেন, ঘটনাটি জেনে আমরা হাসপাতালে এসেছি। আমার মেয়ের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ থেকে আমাকে বলা হয়েছে। আমার মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে পড়ে, আমার আর কি করার আছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে আমরা হাশিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ওই শিক্ষকের এইভাবে মারা ঠিক হয়নি। বিষয়টি আমরা বসে সমাধান করবো। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অনির্বাচিত সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, এটি বড় ধরণের কোন ঘটনা নয়। পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে নিয়ে বসে এটি সমাধান করবো। রঘুনাথপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সন্ধ্যার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ মিটিং করেছে। ওই মিটিং-এ হাশির বাবাকে ২ হাজার টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য বলেছেন। বিষয়টি পরে দেখবেন বলে হাবিব তালুকদারকে বিদায় করেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শিক্ষক জীবন একটু বদ মেজাজের। তিনি এর পূর্বেও কয়েকবার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এক ছাত্রকে পিটুনি দেয়ার ১০-১২ দিন পর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!