• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ৯ নভেম্বর, ২০১৯

ইডেনে ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগকে কোপালো বটি দিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

ইডেন মহিলা কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ছাত্রলীগ নেত্রীদের দুই পক্ষে সংঘর্ষে হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, হলে বহিরাগত থাকা নিয়ে শনিবার ভোরে এ সংঘর্ষ হয়।

ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রুপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ২১৯ নং কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন।

তাকে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন।

এসময় সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দেন রুপা। আহত তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, সকালে আহত অবস্থায় ইডেন কলেজের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতে দায়ের কোপ লেগেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বঙ্গমাতা হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রথমে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনজুমান আরা অনুর অনুসারী ছাত্রলীগ সদস্য তামান্নাসহ কয়েকজন পাঁচতলা থেকে দোতলায় আসেন রুপার অনুসারী নাবিলা ও তার বোনকে হল থেকে বের করে দেয়ার জন্য।

এসময় সাবিকুন্নাহার তামান্নাসহ রুপার অনুসারীরা অনুর অনুসারীদেরকে আক্রমণ করেন। এক পর্যায়ে অনুর অনুসারী ছাত্রলীগের সদস্য তামান্নার হাতে কোপ লাগে। পরে রুপার অনুসারী নাবিলার বোনকে (বহিরাগত) কোপ মারে অনুর অনুসারীরা।

এতে নাবিলার বোনের ঘাড়ে কোপ লাগে। পরে অনুর অনুসারী আর রুপার অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা বলেন, ‘আমি এমন কোনো সমর্থক তৈরি করিনি যারা রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনজুম আরা অনু আমার সমর্থকদের প্রত্যেক হলে গিয়ে মারধর করেছে। পরে রাজিয়া হলের ২০৮ নং কক্ষে গিয়ে আমার একটি আইফোন ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সে।’

তিনি বলেন, আমি প্রথমে খবর পেয়েছিলাম নাবিলা নামে একটা মেয়েকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমি গেলে আমার কাপড় ছিঁড়ে দেয়, বাইরে বের হওয়ার মত অবস্থা ছিল না।

এ বিষয়ে আনজুমান আরা অনু বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। আমি পরে এসেছি।

লালবাগ থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শিক্ষা এর আরও খবর
error: Content is protected !!