• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

মেঘনায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৩০ জেলের কারাদন্ড

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

চাঁদপুর, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ॥
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর অভয়াশ্রম এলাকার সদর ও হাইমচর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে আটক ৩০ জেলের ১ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রোববার সকাল থেকে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন অভিযানে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়াগেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে চাঁদপুর সদরে ২, বিকেলে সদর উপজেলায় ১০ এবং হাইমচর উপজেলায় ১৮ জেলে আটক হয়। এদের প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

এছাড়া ও পৃথক অভিযানে চাঁদপুর নৌ থানা ৮ জেলেকে আটক করেন। আটক জেলেরা হলেন, বিল্লাল গাজী, বাদল বেপারী, মফিজ শেখ, হারুন জমাদ্দার, ইমান হোসেন, ফয়সাল গাজী, রহিম হাওলাদার ও নূরে আলম পাটোয়ারি। এদের মধ্যে বিল্লাল গাজী ও বাদল বেপারীকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বাকী ৬জনের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত মামলা দায়ের করে।

চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের খান বলেন, অভিযানের সময় ৩ লাখ ৬৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৩৭০ কেজি মা ইলিশ জব্দ কর হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। একই সময় জেলেদের কাছ থেকে একটি কাঠের ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কারাগারে প্রেরষ এবং নিয়মিত মামলার ৬ আসামীকে চাঁদপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস এবং মা ইলিশ কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

অপরদিকে রোববার হাইমরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ লাখ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ মিটার। হাইমচর থানার চরভৈরবী এলাকার জেলে পল্লীতে ব্লক রেইড দেয়া হয়। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের মধ্যেও এখানকার জেলেরা নির্বিকার চিত্তে ইলিশ ধরছিল। নদীতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এর টহল থাকলেও সেটি এই বিশাল নদীতে একেবারেই অপ্রতুল। তাই জেলেরা নির্বিঘেœ ইলিশ ধরে।

তবে এবার ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জেলেদের বিরুেদ্ধ। যার বাড়িতে এই অবৈধ কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে তাদের সকলের নামে মৎস সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত মামলা হবে হাইমচর থানায়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!