• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

বাড়ী করার জায়গা পছন্দ হচ্ছেনা শাহরাস্তির ঝুপড়ি ঘরে বসবাসকারী সেই মনোহর আলীর

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

শাহরাস্তি প্রতিনিধি॥
বাড়ী করার জায়গা পছন্দ হচ্ছেনা সেই মনোহর আলীর। দীর্ঘ দিন ৩ সন্তান নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস, না খেয়ে দিনাপাতি করছে শাহরাস্তিরর সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরশাক গ্রামের মনোহার আলী স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে এমন সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম’র নজরে পড়ে সেই সংবাদটি।
সংবাদের সূত্র ধরে রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে দেখতে যান মনোহর আলীকে। সেখানে তিনি মনোহর আলী যেনো স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেজন্য একটি বাড়ী করে দেয়ার আশ^াস প্রদান করেন। বাড়ী করে না দেয়া পর্যন্ত মনোহর আলী তার পরিবার নিয়ে থাকার জন্য ভাড়া বাসার ব্যবস্থা করেন এবং তাকে চলার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। দেয়া হয়, শুকনো খাবার, চাল ডালসহ আনুসাঙ্গিক সামগ্রী।
মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মনোহর আলীর জন্য ৩ শতাংস জায়গা পছন্দ করে। কিন্তু সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম জানান, ৩ শতাংস জায়গা মনোহর আলীর হবেনা। সে যেনো তার সন্তানদের নিয়ে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল লালন-পালন করতে পারে, তার জন্য ৪ শতাংস জায়গা দেখা হউক। সে অনুযায়ী নেতৃবৃন্দ মনোহর আলীর জন্য ৪ শতাংসা জায়গা পছন্দ করে। শোরশাক-হাজীগঞ্জ সড়ক লাগোয়া সড়কটির পাশে মনোরম পরিবেশে এ জায়গাটিই তার জন্য উত্তম বলে স্থানীয়রা মতামত ব্যক্ত করে। কিন্তু ওই জায়গা মনোহর আলীর পছন্দ হচ্ছেনা। মনোহর আলী যে জায়গা বাড়ী করার বলছে ওই জায়গার দামও আকাশ চুম্বী। এতো টাকায় ও ই জায়গা কিনাও সম্ভব হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রথমে মনোহর আলীর ওই জায়গাটিই পছন্দ হয়েছে বলে তিনি জানান। কিন্তু রাত শেষ হয়ে সকাল হতেই ওই জায়গা বাড়ী করলে, যাবেনা বলে বায়না ধরে।
ওই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ জমির উদ্দিন জানান, এমপি স্যার তাকে একটি বাড়ী করার আশ^াস দিয়েছে। তার জন্য জায়গা চাওয়া হয়েছে, প্রথমে তার পছন্দ হইলেও পরে সে, ওই জায়গা যাবেনা বলে জানান।
শোরশাক গ্রামের কামরুল জানান, স্যার ভালো মানুষ অনেককে বাড়ী, ঘর করে দিয়েছে। মনোহর আলীর উচ্চাকাঙ্খা বন্ধ করে, স্যার যেখানে বাড়ী করে দেয়ার কথা বলছে, ওখানে যাওয়া উচিত। তাহলে তার জন্য অনেক ভালো হবে। কিন্তু সে জায়গা চাই, এতো দাম দিয়ে এসব জায়গা কিনা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে মনোহর আলী বলেন, বাবা আমি প্রতিবন্ধী মানুষ চোখে দেখিনা। আমিতো রাজি ছিলাম। আমার বাড়ীর কয়েকজন বল্লো ওই জায়গাটা দূরে তাই যেতে চাচ্ছিনা। আপনার জন্য ওই জায়গাটিই ভালো হবে এমন প্রশ্নে নিরব থাকেন মনোহর আলী। তবে ওই বাড়ীর কয়েক জন যুবক মনোহর আলীকে দেয়া ওই জায়গাটি পছন্দ হচ্ছেনা বলে তাকে ভুল বুঝাচ্ছে। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতির সময়ে ওই বাড়ীর কয়েকজন যুবক তাকে ওই জায়াগায় যেতে নিরুৎসাহীত করতে দেখা যায়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!