• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

বিয়ের ১০ দিনের মাথায় বৌকে তালাক দিয়ে শাশুড়ীকে বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিয়ের মাত্র নয় দিন পর নববধূকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার কড়িয়াটাআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গত ২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলীর সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে নূরুন্নাহার খাতুনের বিয়ে হয়।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের পরদিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তিনি মেয়ে ও জামাতাকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফেরেন।

শনিবার সকালে নূরুন্নাহার জানান, তিনি মোনছেরের সঙ্গে সংসার করবেন না। এরপর শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এসময় শাশুড়ি মাজেদা বেগম জানান, মেয়ে নূরুন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সঙ্গে সংসার করবেন।

এ অবস্থায় মোনছেরের শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। সালিশে হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শাশুড়ি মাজেদা বেগম ও মোনছের আলীকে মারধর করা হয়।

এরপর পরিবারের সম্মতিতে শ্বশুর নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তালাক দেন। এরপর মোনছের আলী নববধূ নূরুন্নাহারকে তালাক দেন।

একই সময়ে সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সঙ্গে মাজেদা বেগমের বিয়ে হয়। হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত তালাক ও বিয়ের যুক্ত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়ি বিয়ে করার ঘটনায় স্থানীয়দের আপত্তি থাকায় গ্রামবাসিদের উপস্থিতিতে মোনছের ও মাজেদাকে শাস্তি দেওয়া হয়।”

এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার বলেন, পরিবারের সকলের সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়ের সম্মতি দেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!