• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ওয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান, আতংকিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষিত হলেও শ্রেণী কক্ষের স্বল্পতায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছে। যেকোনো সময় বিদ্যালয়ের এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ভবন দুটির একটিতে দু’শ্রেণীর ক্লাস করছেন শিক্ষক আর অপর ভবনে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের অফিস ও সহকারী শিক্ষকদের কমন রুম। উক্ত ভবন দুটির পিলার, দেয়াল, ছাদ ভাঙ্গন ও ধসসহ ভবনগুলো দাঁড়িয়ে থাকার যোগ্যতা যথেষ্ট আগেই হারিয়েছে। ভবনের ছাদগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি ঝরছে আর দেয়ালগুলো সেঁতসেঁতে অবস্থায় ফেটে ব্যবহারে অনুপযোগী বুঝা যাচ্ছে। প্রায়শ শিক্ষকগন ভয়ে তাদের অফিস কক্ষে অবস্থান থেকে বিরত থাকেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ এটি। যেখানে ৫ শ্রেনীতে ১৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এক যোগে পাঠ গ্রহন করে। শ্রেনী কক্ষের অভাবে অপারগ হয়ে ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকগন। এহেন দূরাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় সংসদসদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিও লেটার প্রদান করেন। তিনি দাবিযুক্ত কন্ঠে বলেন, দেড় হাজারোর্ধ শিক্ষার্থীর পাঠদানে আমরা একে তো হিমশিম খাচ্ছি অন্যদিকে ক্লাশ চলাকালীন সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা এই পরিত্যক্ত ভবনের শ্রেণী কক্ষে অপারগতা নিয়েই ক্লাস করি। বৃষ্টি হলে ছাদ ঘেমে পানি পড়ে আর তখনই ভয়ে আতংকে থাকি। কখন কি হয়ে যায়। এই বিদ্যালয়টি আমাদের প্রাণ। তাই এই বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্থানীয় সংসদসদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তারা।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন বলেন, আশপাশের ১৭টি গ্রামের ছেলে-মেয়ে এই বিদ্যালয়ে তাদের মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন করে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নতির অপেক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রয়োজনীয় ভবনগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানদের ওই ভবনেই ক্লাস করতে হয়। যা প্রতিটি মূহুর্তেই জেগে থাকে আতংক। যদি ঢাকার তিতুমীরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটে এবং আমাদের সন্তানদের ক্ষয়-ক্ষতি হয় তাহলে কে নেবে এর দায়িত্ব। উপজেলার প্রাচীনতম সেরা এই বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত উন্নতি থেকে পিছিয়ে থাকায় তারা দুঃখ প্রকাশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!