• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

হাসপাতালে প্রসবের ৮০ ভাগই সিজারিয়ান

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

notunerkotha.com

সিজারিয়ান প্রসব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে; কিন্তু এটি কোনো বিকল্প নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সিজারিয়ান প্রসবের কারণে মায়েরা নানা সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছেন। বরং ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপকারী।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর এবং অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। এ সময় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ডা. মো. তৌফিক ইসলাম এবং আয়ারল্যান্ড ওয়াটারফোর্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট জিন্নুরাইন জয়গিরদার। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পোর্টিয়নকুলা ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ডা. কাজী নাফিজা হামিদ।

তেজগাঁওয়ের ইমপালস হসপিটালের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, বাংলাদশে বেসরকারি হাসপাতালে প্রসবের ৮০ শতাংশেরও বেশি সিজারের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল হলেও সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানোর জন্য সারাদেশে রোগীদের কাছ থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এধরনের ডেলিভারি মা এবং শিশু দুই জনকেই ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়। অনেক গর্ভবতী মা প্রায়ই ব্যথা আতঙ্কের কারণে সন্তান প্রসব করার জন্য অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হন। তবে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করার পরেও তাদের প্রসব পরবর্তী দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইমপাল্স হেল্থ সার্ভিসেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমিন বলেন, সিজারিয়ান কোনো মতেই স্বাভাবিক প্রসবের বিকল্প হতে পারে না। আবার আধুনিকতার নিরিখে প্রসবের সময় ব্যথাও কোনো মতে কাম্য নয়। এইসব চিন্তা করেই ইমপাল্স হসপিটাল গত বছর থেকে ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা শুরু করেছে এবং যথেষ্ট সাফল্যও অর্জন করেছে। সাধারণ ব্যথাহীন নরমাল ডেলিভারির জন্য যা প্রয়োজন তা হচ্ছে একটি সুসজ্জিত ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত অ্যানেসথিয়েসিস্ট, ২৪ ঘণ্টার জন্য সার্বক্ষণিক কনসালটেন্টদের উপস্থিতি, যার মাধ্যমে প্রি-ডেলিভারি, ডেলিভারি এবং ডেলিভারি-পরবর্তী সেবা দক্ষতার সঙ্গে করা সম্ভব। তিনি জানান, এই উদ্যোগকে আরো বেগবান এবং অত্যাধুনিক করতে আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এনেছি।

ডা. কাজী নাফিজা হামিদ তার উপস্থাপনায় বলেন, উন্নত বিশ্বে সব মা-ই ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি প্রত্যাশা করে থাকে। তারা চায় সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময়ে যেসব সেবার দরকার হয় তাও হতে হবে ব্যথামুক্ত। এপিডুরাল অ্যানালজেসিয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করতে তিনি বলেন, এটি ব্যবহার করলে রোগীরা সম্পূর্ণ ব্যথামুক্তভাবে তাদের সন্তান প্রসব করতে পারে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অন্যান্য এর আরও খবর
error: Content is protected !!