• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা আবারও ,সতর্ক বিজিবি

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে চাঁদপুরের ৪১টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

notunerkotha.com

গত দুই বছরে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পরও যেন থামছে না রোহিঙ্গাদের এপারে আসা। টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আবারও নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার গভীর রাতে একটি নৌকায় ৬ রোহিঙ্গা টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বাধায় ফিরে যায়। এর দু’দিন আগেও ২২ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালালে বিজিবি তাদেরও প্রতিহত করে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।

তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাতে হ্নীলা নৌকায় করে নয়াপাড়া নাফ নদীর কুতুবদিয়া ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে ৬ জন রোহিঙ্গা। এ সময় বিজিবির একটি টহলদল তাদের আটক করে। পরে গভীর রাতে আটক রোহিঙ্গাদের একই সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বিজিবি। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু ছিল।

মেজর শরীফুল ইসলাম বলেন, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা ঢুকতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থেকে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি।

টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মোহাম্মদ আলম জানান, মিয়ানমারে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা অনেকে দুঃখে-কষ্টে জীবনযাপন করছে। একটু উন্নত জীবন যাপন ও নিরাপত্তার আশায় রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, মাঝে মধ্যে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে থাকে। তবে বিজিবি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকায় অনুপ্রবেশ সম্ভব হয় না।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটলে তার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন শুরু করে। পরদিন ২৫ আগস্ট প্রাণ বাঁচাতে বানের স্রোতে মতো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!