• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৯

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার পরে এ কম্পন অনুভূত হয়। চীন সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ক্যামেং জেলার বমডিলা এলাকায় ছিল এর উৎপত্তিস্থল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দফতরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল ৩টা ২২ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫।

আবহাওয়া অধিদফতরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৯৯ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে ৩২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা এলাকায়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৬.৮ কিলোমিটার গভীরে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয় ভারত ও মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম-বান্দরবানসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ।

এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৪ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরেই।

ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখে আবারও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। সেসময় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মিজোরাম। চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৭ রিখটার স্কেল মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

১২ ফেব্রুয়ারি মৃদু ভূকম্পন আঘাত হানে বঙ্গোপসাগর এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এর জের ধরে কেঁপে ওঠে ভারতের চেন্নাইয়ের বিভিন্ন অংশ।

ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী প্লেট ও সাব-প্লেট দিয়ে গঠিত। এ রকম দুটি প্লেটের মাঝখানে যে ফাঁক থাকে তাকে বলা হয় ফল্ট লাইন। প্লেটগুলো গতিশীল। দুটি চলন্ত প্লেটের ফল্ট লাইনে পরস্পর সংঘর্ষ হলে অথবা হঠাৎ ফল্ট লাইনে শূন্য অবস্থার সৃষ্টি হলে ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ অবস্থান করছে ভারতীয়, ইউরেশীয় ও মিয়ানমারের টেকটনিক প্লেটের মধ্যে।

বুয়েটের গবেষকদের ভূমিকম্প ঝুঁকির মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১ শতাংশ এলাকা মধ্যম (জোন-২) ও ১৬ শতাংশ এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!