• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৯

কুমিল্লা বোর্ডে চাঁদপুর জেলা শীর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বুধবার প্রকাশিত ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দিক থেকে আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে দেশসেরা হয়েছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। ৭৭.৭৪ শতাংশ পাসের মধ্য দিয়ে শীর্ষে থাকা কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ছয়টি জেলার ৩৮৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টিতে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।

বোর্ডের অধীন জেলাগুলোর মধ্যে ৮৬.৮৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে চাঁদপুর জেলা শীর্ষ অবস্থানে এবং ৮২.৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা জেলা। গড় পাসের দিক থেকে মেয়েরা কিছুটা এগিয়ে। ছেলেদের গড় পাসের হার ৭৭.১২ এবং মেয়েদের ৭৮.২৭ শতাংশ।

কুমিল্লা বোর্ডে সেরা চাঁদপুর 

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর এ বোর্ডের অধীন ছয়টি জেলার ৩৮৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাঁদপুরের ৬২টি কলেজ থেকে ১৪ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২ হাজার ৪৭৪ জন এবং এ জেলায় পাসের হার ৮৬.৮৭ শতাংশ।

কুমিল্লার ১৫০টি কলেজ থেকে ৩১ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৫ হাজার ৭৬১ জন। এ জেলায় পাসের হার ৮২.৯০ শতাংশ।

নোয়াখালীর ৪৫টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে ১৭ হাজার ৩৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩ হাজার ৩৮ জন। এ জেলায় পাসের হার ৭৫.২১ শতাংশ।

ফেনীর ৪১টি কলেজ থেকে ৯ হাজার ৮৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ২৬৮ জন, এ জেলায় পাসের হার ৬৩.৫১ শতাংশ।

hscc

লক্ষ্মীপুরের ৩৪টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৭৩৪ জন। এ জেলায় পাসের হার ৬৮.৮১ শতাংশ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫৪টি কলেজ থেকে ১৩ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০ হাজার ৮৩ জন এবং এ জেলায় পাসের হার ৭৫.৩১ শতাংশ।

৩১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস :

কুমিল্লা বোর্ডের অধীন ৩৮৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টি থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি কলেজই কুমিল্লার। শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কুমিল্লার দাউদকান্দির জুরানপুর আদর্শ কলেজ, বুড়িচংয়ের সোনার বাংলা কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়ার পারুয়ারা আবদুল মতিন খসরু কলেজ, মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালীর চাটখিল মহিলা কলেজ, চাঁদপুরের আশেক আলী খান হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার বরুড়া আগানগর আদর্শ কলেজ, নোয়াখালীর চাটখিল আবদুল ওয়াহাব কলেজ, চাঁদপুরের কচুয়ার ড. মনসুরুদ্দিন মহিলা কলেজ, কুমিল্লার লাকসামের মুদাফ্ফরগঞ্জ এএন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার বরুড়ার ছোট তুলাগাঁও মহিলা কলেজ, চাঁদপুরের কচুয়ার চাঁদপুর এমএ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আবদুল মতিন খসরু মহিলা কলেজ, গোপাল নগর আদর্শ কলেজ, ফেনীর পরশুরাম আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ডা. যোবায়দা হান্নান হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার দেবিদ্বার গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) দ্য কার্টার একাডেমি, কুমিল্লার দাউদকান্দির বেগম রাবেয়া গার্লস কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ কলেজ, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) জীবগাঁও জেনারেল হক হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা তিতাসের ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশিদ গার্লস কলেজ, চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজ, ধর্মপুর নাজিম আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়ার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ দেওয়ান কলেজ, সদর দক্ষিণের সিসিএন মডেল কলেজ ও লক্ষ্মীপুর ক্যামব্রিজ সিটি কলেজ।

তিনটি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীদের কেউ পাস করেনি :

কুমিল্লা বোর্ডের অধীন তিনটি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীদের কেউ পাস করেনি। তিনটি কলেজের মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দির ভজরা এসইএসডিপি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ছয়জন, নোয়াখালীর হাজারিহাট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তিনজন এবং একই জেলার তামারাদ্দি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুইজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই ফেল করেছে।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুস ছালাম বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রচেষ্টা এবং আমাদের (বোর্ড) নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এ বছর ভালো ফলাফল অর্জন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফলাফল ভালো করতে আমরা শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা বর্ষের বিভিন্ন সময়ে ওয়ার্কশপ করেছি, যা ইতিবাচক ফলাফলের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ইংরেজি ও গণিতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আরও বেশি প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শিক্ষা এর আরও খবর
error: Content is protected !!