• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৯

এরশাদের দাফন রংপুরেই, রওশনের সম্মতি

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দাফন রংপুরেই হবে। এ ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ ( জি এম) কাদের। আজ রংপুর শহরে এরশাদের চতুর্থ ও শেষ দফার দাফন শেষে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের জোরালো দাবির মুখে এ ঘোষণা দেন কাদের। এরশাদের দাফন রংপুরে করার বিষয়ে তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ সম্মতি দিয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত রোববার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এরশাদের মৃত্যু হয়। এরপর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা এরশাদের কবর ঢাকার সামরিক কবরস্থানে দেওয়ার কথা জানান। তবে ওইদিন থেকেই রংপুরের জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীরা এরশাদের নিজ শহর রংপুরে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান শুরু থেকেই এরশাদের দাফন রংপুরের করার বিষয়ে দাবি তুলতে থাকেন।

আজ দুপুর ১২টার পর রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে চতুর্থ ও শেষ জানাজার জন্য এরশাদের মরদেহ আনা হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জানাজা শরিক হয়। জানাজার মধ্যেই রংপুরে এরশাদের দাফনের দাবিতে হট্টগাল শুরু হয়।

গত রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা হয়। গতকাল সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়। অজ রংপুরের জানাজা শেষে ঢাকায় এরশাদের মরদেহ এনে দাফনের কথা ছিল।

কিন্তু আজ জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তাফিজ রংপুরে এরশাদের দাফনের দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুরু করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরেন। তাঁরা রংপুরে কবর দেওয়ার দাবি জানান। গাড়িটিতে ছিলেন মেয়র মোস্তাফিজ। ময়দানে মাইক থেকে তাঁর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, মরদেহ যেন রংপুর থেকে ঢাকায় না যায়। এ পরিস্থিতিতে বেলা তিনটার দিকে এরশাদের মরদেহ শহরে তাঁর বাড়ি পল্লি নিবাসে নেওয়া হয়। এরপর সেখানেই দাফন করার ঘোষণা দেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘এরশাদকে রংপুরে দাফন করার ব্যাপারে ঢাকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরা সম্মতি দিয়েছেন বলে আমি এ সিদ্ধান্তের কথা জানালাম।’

এর আগে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতাবোধে শ্রদ্ধা জানিয়ে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে অনুমতি দিয়েছেন রওশন এরশাদ। এরশাদের কবরের পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জন্য জায়গা রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

রওশন এরশাদ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের আবেগ ও অনুরাগেই রংপুরে এরশাদকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ এরশাদের শেষ দফা জানাজায় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। পুরো রংপুর শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। শহরের যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • রাজনীতি এর আরও খবর
error: Content is protected !!