• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ জুন, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৯

চাঁদপুর মাছঘাটে হাতিয়ার ইলিশের আমদানী। দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি॥

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে বর্তমান সময়ে ইলিশে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলছে ইলিশের আকাল। বর্তমান ভরমৌসুমে এ ২টি নদীতে জেলেরা ইলিশ নাপেয়ে হতাশার মধ্যে দিন-রাত কাটাটে হচেছ। তারা নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে ইলিশ আহরন করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। এখন ভর মৌসুম হলেও নদীতে জেলেরা বড় আকারের ইলিশ পাচেছনা।

জেলেদের জালে যে পরিমান মাছ আটকা পড়ছে,তার মধ্যে বেশীর ভাগই টেম্পু ও জাটকা ইলিশে পোনা। জেলেরা নদীতে নেমে তাদের যে পরিমান ইলিশ আহরন খরচ হচেছ,তাতে তাদের খরচ পর্যন্ত উঠে আসছেনা। অপর দিকে চাঁদপুর মাছ ঘাটের আড়ৎদাররা তাদের গদিতে কাংখিত ইলিশ নাআসায় অপসর সময় কাটাচিছল। এরই মধ্যে হঠাৎ দেশের দক্ষীন অঞ্চীয় সমুদ্র উপকুলবর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে।

বর্তমানে সে ইলিশ চাঁদপুর আসায় মৎস্য আড়ৎ সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলে ও চাঁদপুর মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরের নদী বক্ষে ইলিশের আকাল চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় হাতিয়ার ইলিশে কিছুটা জেগে উঠেছে ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর মাছঘাট। কিছুদিন আগেও এ মাছঘাট ছিল অনেকটাই নীরব।

এখন সেখানে দেদারছে চলছে ইলিশ বিক্রির হাঁকডাক। গতকাল শনিবার একদিনেই ইলিশ বোঝাই হয়ে ঘাটে এসেছে ৯টি ফিশিং ট্রলার। মাছের আকারভেদে এখানে ইলিশ বিক্রি হচেছ। ১ কেজি সাইজের প্রতিমণ ইলিশ পাইকারী ৪৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচেছ। ৭শ’গ্রাম থেকে ৮শ’গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচেছ ৩০ হ্জাার টাকা দরে। ৫/৬ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচেছ প্রতিমন ১৭/১৮ হাজার টাকায়।
মাছ ঘাটের আড়ৎদার হাজী মালেক খন্দকার, গফুর জমাদার, বাবুল হাজী, দুলাল গাজী, ছোট সিরাজ চোকদার, কালু ভূঁইয়া, হাজী রব চোকদার, মেজবাহ মালসহ সকল আড়তগুলোতে অনেক দিন পর রূপালী ইলিশের চাঙ্গাভাব দেখা যায়। দক্ষীন অঞ্চলীয় এ সব ইলিশ বেচা-কেনার ধুম আর পাইকারদের আনাগোনা এবং শ্রমিকদের কাজের তৎপরতা দেখে মাছঘাটের পুরানো চেহারায় চাঁদের আলোর মত ফুটে উঠেছে। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিঃ-এর সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শবেবরাত সরকার জানান, প্রতিদিন সব মিলিয়ে তিনশ’ মণ হবে ইলিশ মাছ ঘাটে আসছে। ইলিশের এই আমদানি সাময়িক। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ মাছ নেই। মাঝে মধ্যে দক্ষীন অঞ্চলীয় কিছু ইলিশ আমদানী হলে ঘাটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশার মধ্যে আশার আলোর সঞ্চার হয় ।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!